ঢাকা, ২০২৪-০৫-১৯ | ৪ জ্যৈষ্ঠ,  ১৪৩১

আইএমএফের পরামর্শে সুদহার শিথিল করবে বাংলাদেশ

প্রবাস নিউজ ডেস্কঃ

প্রকাশিত: ০১:৫৫, ৭ মে ২০২৪  

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে নির্ধারিত বা ব্যান্ড হারের পরিবর্তে নমনীয় সুদহার ও বিনিময় হার চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গতকাল এক আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, 'আমরা শিগগিরই পুরোপুরি বাজারভিত্তিক সুদহারের দিকে যাচ্ছি, যা ব্যাংকগুলোকে চাহিদা ও সরবরাহের ভিত্তিতে সুদের হার নির্ধারণে সহায়তা করবে।'

তবে বাংলাদেশ ব্যাংক কবে নাগাদ নমনীয় সুদহার ও বিনিময় হার চালু করবে তা জানাননি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।

তিনি আরও জানান, পাশাপাশি বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালুর পরিকল্পনা ও এখন 'ক্রলিং পেগ' পদ্ধতি অবলম্বন করতে কাজ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ ও দৈনিক বণিক বার্তার যৌথ উদ্যোগে 'ফিসক্যাল অ্যান্ড মনিটরি পলিসি ইন দ্য ইভলভিং ইকোনমিক অর্ডার (রিস্কস, ভালনারেবিলিটিস অ্যান্ড সলিউশনস)' শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আসন্ন মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় নমনীয় সুদের হার এবং বিনিময় হারের একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। তবে তার আগেই ঘোষণা করা যেতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, 'আমরা এখন রেফারেন্স রেট ট্রেজারি বিলের ছয় মাসের মুভিং গড় হার অনুসরণ করি, যা সংক্ষেপে স্মার্ট নামে পরিচিত।'

তিনি বলেন, আগে ঋণের ক্ষেত্রে ৯ শতাংশ এবং আমানতের ক্ষেত্রে ৬ শতাংশ সুদ বেঁধে দেওয়া হলেও এখন আমরা বাজারভিত্তিক সুদহারের খুব কাছাকাছি আছি।

খুব শিগগিরই আমরা পুরোপুরি বাজারভিত্তিক সুদের হারে যাব, যেখানে কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না।

উল্লেখ্য গত বছরের জুলাইয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৯ শতাংশ সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার করে স্মার্ট চালু করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আরও বলেন, বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালুর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তারা বর্তমানে ক্রলিং পেগ চালু করতে কাজ করছেন।

'ক্রলিং পেগ' হচ্ছে দেশীয় মুদ্রার সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার সমন্বয়ের একটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে একটি মুদ্রার বিনিময় হারকে একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ওঠানামা করার অনুমতি দেওয়া হয়।

বৈদেশিক বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, রপ্তানি বাড়ছে ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখতে অপ্রয়োজনীয় আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

প্রবাসী আয় বেড়েছে ও চলতি হিসাব ইতিবাচক আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আর্থিক হিসাব এখনো ঋণাত্মক আছে।

'বর্তমানে আমাদের ভাবনাতে দুটি বিষয় রয়েছে। একটি উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং অন্যটি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমার প্রবণতা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতোমধ্যে এসব সমস্যা সমাধানে বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে,' বলেন তিনি।

বন্ড ইস্যুর বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, বিদ্যুৎ ও সার খাতে বকেয়া পরিশোধে সরকার বন্ড ইস্যু করেছে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়