ঢাকা, ২০২৪-০৫-২০ | ৫ জ্যৈষ্ঠ,  ১৪৩১

আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ

প্রবাস নিউজ ডেস্কঃ

প্রকাশিত: ০১:০২, ৯ মে ২০২৪  

বুধবার (৮ মে) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা সফররত দাতা সংস্থাটির প্রতিনিধি দলের প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউ।

তিনি বলেন, আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির ঋণ পেতে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দল। এখন আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দাতা সংস্থাটির নির্বাহী বোর্ডের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। এরপর দ্বিতীয় পর্যালোচনা শেষে ৯৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কিস্তির ছাড় দেয়া হবে।

আইএমএফের ডেভেলপমেন্ট মাইক্রো ইকোনমিক্স ডিভিশনের এই প্রধান বলেন, আইএমএফ-সমর্থিত কর্মসূচির আওতায় গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোগত সংস্কার করেছে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে পেট্রোলিয়াম পণ্যের জন্য ফর্মূলাভিত্তিক জ্বালানি মূল্য সমন্বয় নীতি তারা বাস্তবায়ন করেছেন।

মূল্যস্ফীতিসহ নানা সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বিনিময় হার পুনর্বিন্যাসে বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলোকে স্বাগত জানিয়েছে আইএমএফ।

আইএমএফ প্রতিনিধিদলের প্রধান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় স্থিতিস্থাপকতা আনতে পারলে সামষ্টিক অর্থনীতি ও রাজস্ব ঝুঁকি হ্রাসে সহায়ক হবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার বর্তমান চেষ্টা ও ব্যয় দক্ষতা বাড়াতে পারলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা সহায়ক হবে। এতে ব্যক্তিগত মালিকানাধীনসহ বিভিন্ন খাত থেকে জলবায়ু অর্থায়ন পাওয়া যাবে।
পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কারে অগ্রাধিকার দিতে হবে সরকারকে এবং সবুজ অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।


অর্থপাচার নিয়ে আইএমএফ কথা না বললেও শুল্ক অব্যাহতির বিরুদ্ধে কথা বলে কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‌আইএমএফের একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হচ্ছে অর্থপাচার নিয়ন্ত্রণ করা। যেসব কর্মসূচিতে ট্যাক্স বাড়ে, সেগুলোকে সমর্থন করা আমাদের লক্ষ্য। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচি আছে।


তিনি বলেন, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সঙ্গে আমরা কাজ করছি। আমরা সুশাসন শক্তিশালী করার কথা বলি। এই সুসাশনের মধ্যেই অর্থপাচারের সমস্যার সমাধান আছে।


মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে। এরপর কর বাড়ালে মানুষের সেই কষ্ট আরও বাড়বে কিনা- জানতে চাইলে আইএমএফ প্রতিনিধিদরের প্রধান বলেন, আমাদের কার্যক্রমের একটি বড় অংশ হচ্ছে সামাজিক নিরাপত্তা বাড়ানো। কাজেই আমাদের নীতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ওপর কী প্রভাব ফেলে, তা নিয়ে আমরা সতর্ক।

তিনি বলেন, 

সুদের হার বাড়ালেও বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি স্থিতিশীল আছে। এমনকি বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি কমতির দিকে। আগামী বছর বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি সাত শতাংশে আসবে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়