ঢাকা, ২০২৪-০৫-২১ | ৭ জ্যৈষ্ঠ,  ১৪৩১

১৯৭২ সালের পর এত তাপ দেখেনি দেশবাসী

প্রবাস নিউজ ডেস্কঃ

প্রকাশিত: ০০:২৭, ১ মে ২০২৪  

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, এবারের এপ্রিল মাসটি ছিল দেশের ইতিহাসে অন্যতম উষ্ণ মাস। এপ্রিলের এ সময়ে বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা থাকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু মাসজুড়েই সড়ে সারাদেশে তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রির ওপরে। মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে যশোরে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা বাংলাদেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। চুয়াডাঙ্গায় এদিন থার্মোমিটারের পারদ উঠেছে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলিসিয়াসে। আর ঢাকায় তাপমাত্রা উঠেছে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রিতে।

এর আগে ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এতদিন দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। মঙ্গলবার তা ভেঙে গেল। আর স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল, যা বাংলাদেশের নথিভুক্ত ইতিহাসের সর্বোচ্চ।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এবার এই এপ্রিল মাসে টানা যত দিন তাপপ্রবাহ হয়েছে, তা গত ৭৬ বছরে হয়নি। গত বছর (২০২৩) একটানা ১৬ দিন তাপপ্রবাহ হয়েছিল। এবার তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে ১ এপ্রিল থেকে। মঙ্গলবারও তাপপ্রবাহ বইছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। ফলে টানা ৩০ দিন তাপপ্রবাহ দেখলো বাংলাদেশ। দেশের ইতিহাসে এমনটি আর কখনও হয়নি।

আবহাওয়াবিদ আজিজুর রহমান বলেন, এরকম তাপমাত্রা অবস্থা আরও কয়েকদিন চলবে। তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রির আশেপাশে বা এর বেশিও হতে পারে। মে মাসের ২-৭ তারিখের ভেতরে তাপমাত্রা প্রশমিত হয়ে আসবে বৃষ্টির ফলে। এসময়ে পুরো বাংলাদেশেই বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ২ মের আগে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই।

এবার তাপপ্রবাহের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এর কারণ জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, সবসময়ই এসব এলাকায় তাপমাত্রা বেশি আসে, বহু আগে থেকেই হয়ে আসছে। কারণ এই এলাকাগুলো ভারতের বিহার, পশ্চিমবঙ্গের পাশে। ওইসব এলাকায় ৪৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা উঠেছে গতকাল, সেটার আঁচ এসেই পড়ে এখানে।

 

সর্বশেষ
জনপ্রিয়