ঢাকা, ২০২৪-০৪-২৮ | ১৫ বৈশাখ,  ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আগরতলা দূতালয়ে বর্ণিল আয়োজন

প্রবাস নিউজ ডেস্কঃ

প্রকাশিত: ০০:১৫, ২১ মার্চ ২০২৪  

দিনব্যাপী বর্ণিল আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্‌যাপন করেছে আগরতলা বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন।

জাতীয় শিশু দিবস ও বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করছেন আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের কর্মকর্তা ও অতিথিরা। 
প্রথম পর্ব

এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা দূতালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে জাতির পিতা, তার পরিবারের শাহাদতবরণকারী সদস্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং বাংলাদেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়।
সকাল ৮ টা৪০ মিনিটে দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী,পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। সকাল ৯টায় জাতির পিতার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ও কর্মধারার ওপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

কেক কেটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করছে ত্রিপুরার স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীরা। 

দ্বিতীয় পর্ব

সকাল ১০টায় আগরতলার ফায়ার ব্রিগেড চৌমুহনীর হোটেল সোনার তরী হোটেলে শুরু হয় ত্রিপুরার বিভিন্ন বয়সী শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোরদের মাঝে গিফট প্যাক বিতরণ করা হয়।

তৃতীয় পর্ব

সন্ধ্যা ৭টা ১৫মিনিটে সোনার তরী হোটেলে সহকারী হাই কমিশনের পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সন্ধ্যা ৭টা২৫মিনিটে জাতির পিতা, তার পরিবারের শাহাদতবরণকারী সদস্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে আগরতলা বাংলাদেশ দূতালয়ের কর্মকর্তারা। 

সন্ধ্যা ৭টা ২৬মিনিটে জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে আমন্ত্রিত অতিথি, সাংবাদিক, আগরতলা মিশনে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশুদের নিয়ে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জন্মদিনের কেক কাটা হয়।

সন্ধ্যা ৭টা৩৫ মিনিটে দিবসের তাৎপর্য নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনায় বক্তব্য রাখেন, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ, ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. আল আমীন, শিক্ষাবিদ ড. মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মৈত্রী সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব স্বপন ভট্টাচার্য ও আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য শাহিদুল হাসান খোকন প্রমুখ।

 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. আল আমীন। 

সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ ও আসা অতিথিরা তাদের বক্তব্যে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতা, ৩০ লাখ শহীদ, সম্ভ্রমহারা ২ লাখ মা বোন এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। যাদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
সহকারী হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধু একজন সফল রাষ্ট্রনায়কের পাশাপাশি শিশুদের কাছেও ছিলেন ভীষণ প্রিয় ব্যক্তিত্ব। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর মমতা ছিল অপরিসীম। তিনি বিশ্বাস করতেন আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ; শিশুরাই তার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।
আরিফ মোহাম্মাদ বলেন, শিশুদের আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার নিমিত্তে ও শিশুদের সুরক্ষায় তিনি জাতিসংঘের শিশু সনদের ১৫ বছর আগে ১৯৭৪ সালে জাতীয় শিশু আইন প্রণয়ন করেন ও  শিশু বিকাশ নিশ্চিত করতে প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেন বঙ্গবন্ধু।
এজন্য তার জন্মদিনকে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে ১৭ মার্চকে ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে।

 

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে ত্রিপুরার শিশু শিক্ষার্থীরা। ছবি: সময় সংবাদ

রাত ৮টায় ত্রিপুরার অন্বেষা শিশু সরক্ষা কেন্দ্রের শিশু শিল্পী ও রাজ্যের শিশুদের নিয়ে বিশেষ সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘শ্রুতি’র পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমন্ত্রিত দর্শক ও শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।
অনুষ্ঠান শেষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে আকর্ষণীয় পুরস্কার হিসেবে এককালীন শিক্ষা বৃত্তি দেয়া হয়। অংশগ্রহণকারী সব শিশুকে সহকারী হাইকমিশনের পক্ষ থেকে সনদ দেয়া হয়। এছাড়া অন্বেষা শিশু সুরক্ষা কেন্দ্রের শিশুদের বিকাশে নগদ অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি, সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধি, আগরতলা মিশনে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন বয়সী স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে রাত সাড়ে ৮টায় আমন্ত্রিত অতিথিদের নৈশভোজের মাধ্যমে আপ্যায়ন করা হয়।

প্রবাসের খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়