ঢাকা, ২০২৪-০৪-২৮ | ১৪ বৈশাখ,  ১৪৩১

‘শেখ মুজিব কেবল বাংলাদেশের বন্ধু নন, ভারতেরও বন্ধু’

প্রবাস নিউজ ডেস্কঃ

প্রকাশিত: ০১:১৪, ১৯ মার্চ ২০২৪  

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অকালমৃত্যু না হলে এ উপমহাদেশে রাজনীতির ইতিহাস ভিন্নভাবে লেখা হতো বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় ভারতের ত্রিপুরায় আলোচনা সভায় বক্তৃতা করছেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য শাহিদুল হাসান খোকন। ছবি সময় সংবাদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় ভারতের ত্রিপুরায় আলোচনা সভায় বক্তৃতা করছেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য শাহিদুল হাসান খোকন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে রোববার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি হোটেলে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সুশান্ত চৌধুরী বলেন, ‘দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই স্বতঃস্ফূর্ত জননেতা হতে পেরেছিলেন এবং সর্বসাধারণ একাগ্রচিত্তে তাকে নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছিল। তাই বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বাংলাদেশকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মানচিত্রে আলোচনার কোনো মানে হয় না। বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ সমার্থক শব্দ।’ সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক সূত্রে গাঁথা। শত বছরের শোষণ, নিপীড়ন, বঞ্চনা ও পরাধীনতার শিকল ভেঙে তিনি পথহারা বাঙালি জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য শাহিদুল হাসান খোকন বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি তিনি ১৯৬৯ সালে পেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে মানুষ আগে থেকেই নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছিল। শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না। বঙ্গবন্ধুর অকাল প্রয়াণে বাঙালি জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ওপর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কবি নজরুল ইসলামের একটা বিরাট প্রভাব ছিল। তাই কবিগুরুর লেখা ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’ গান তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে মানুষের অনেক শেখার আছে। অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার শিক্ষাবিদ ড. মোস্তফা কামাল, মৈত্রী সম্মাননা পাওয়া সাংবাদিক ও লেখক স্বপন ভট্টাচার্য বক্তব্য দেন। এর আগে সকালে হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সহকারী হাইকমিশনের পক্ষ থেকে শিশু-কিশোরদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় অতিথিরা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
প্রবাসের খবর বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়