প্রতিমন্ত্রী পলকের সঙ্গে মেটার প্রতিনিধি দলের বৈঠক

আঞ্চলিক অফিস স্থাপন এবং ভবিষ্যতে বিনিয়োগের বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে মেটা বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দলের বিশেষ বৈঠক হয়েছে।

বৈঠকে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ও মেটার প্রতিনিধি দল। ছবি: সংগৃহীত

বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) প্রতিমন্ত্রী পলকের আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের দফতরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশে মেটার পাবলিক পলিসির প্রধান রুজান সারওয়ার, প্রাইভেসি, এআই ম্যাটার এক্সপার্ট আরিয়ান জিমেনেজ এবং কনটেন্ট বিষয়ক বিশেষজ্ঞ নয়নতারা নারায়ণ এসময় প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিত্ব করেন। বাংলাদেশে একটি আঞ্চলিক অফিস স্থাপন এবং ভবিষ্যতে বিনিয়োগের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন তারা। এছাড়াও বৈঠকে ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া ও নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি করাসহ গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ফেসবুকের কাছে নিয়মিত তথ্য চায়। ২০১৬ সালে প্রথম তথ্য দিয়ে সাহায্য করে ফেসবুক। দেশের জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করার জন্য বাংলাদেশে একটি আঞ্চলিক অফিস স্থাপনের কথা আবারও বলা হয়েছে। এছাড়াও মেটা বাংলাদেশে প্রযুক্তি খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও উদ্যোক্তা তৈরিতে আরও বেশি মনোনিবেশ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি সেবাকে আরও সহজ করার লক্ষ্যে দেশে আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) পাওয়ার্ড গভর্নমেন্ট ব্রেইন তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এআই’র নেতিবাচক ব্যবহার এবং ঝুঁকি কমানোর জন্য সরকার একটি এআই আইন করতে চায়। মেটা চাইলে এই ‘এআই পলিসি’ এর খসড়া প্রণয়নে অংশগ্রহণ করতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

পার্সোনাল ডাটা প্রটেকশন অ্যাক্ট (পিডিপিএ) এবং এআই পলিসি শুধুমাত্র বাংলাদেশেরই নয়, এটি বৈশ্বিক ইস্যু। এ ব্যাপারে আধুনিক আইন প্রণয়নের কাজ করা হচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ফেসবুক হলো মানুষকে সংযুক্ত করার একটি মাধ্যম। বাংলাদেশ ফেসবুকের পজিটিভ দিক নিয়ে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। এজন্যই সিঙ্গাপুর, আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ভারতের পলিসির আদলে আইন করতে চায় দেশ।

এসময় আইসিটি বিভাগের এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি প্রকল্পের পলিসি এডভাইজর এবং কম্পোনেন্ট লিডার (ডিজিটাল গভর্নমেন্ট এবং ডিজিটাল ইকোনমি) মো. আব্দুল বারী উপস্থিত ছিলেন।