বাংলাদেশ-ভুটানের সহযোগিতায় পর্যটন খাত এগিয়ে যাচ্ছে: রাষ্ট্রপতি

প্রবাস নিউজ ডেস্কঃ

প্রবাস নিউজ

প্রকাশিত : ১০:২৭ পিএম, ২৬ মার্চ ২০২৪ মঙ্গলবার

আঞ্চলিক সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ভুটানের যৌথ সমন্বয় এবং উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। দুদেশের সহযোগিতায় পর্যটন খাত এগিয়ে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

আতিকুর রহমান তমাল

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেলে বঙ্গভবনে বাংলাদেশে সফররত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুকের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রপ্রধান এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘দুদেশ নিজ নিজ দেশের সম্ভাবনা ও অগ্রাধিকারকে কাজে লাগিয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে পারে।’

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইতিবাচক বিকশিত হচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিদ্যুৎ, সংযোগ, কৃষি, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং পর্যটন খাতেও দুদেশের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র চমৎকারভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।’

রাষ্ট্রপ্রধান সার্ক, বিমসটেক, এসএসইসি এবং বিবিআইএনের মতো আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সহযোগিতার ক্ষেত্রে ভুটান ও বাংলাদেশের সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেন।

৫৪তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের বিশেষ আমন্ত্রণে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক ও রানী জেটসুন পেমা চারদিনের সরকারি সফরে এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। আমন্ত্রণ গ্রহণ করে ঐতিহাসিক মার্চ মাসে বাংলাদেশ সফরের জন্য রাষ্ট্রপতি ভুটানের রাজার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন গভীর ও ঐতিহাসিক উল্লেখ করে রাষ্ট্রপ্রধান দুদেশের অভিন্ন ইতিহাস, ভৌগলিক নৈকট্য, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য, জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে দুই সরকারই যৌথভাবে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে পরিদর্শন বইয়ে সই করেন ভুটানের রাজা। ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম দেশ হিসেবে ভুটানের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন ও সংস্কৃতিসহ সামাজিক বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তিনি তার দেশের সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের কথা উল্লেখ করেন এবং গণতন্ত্রের চর্চা ও বিকাশের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

ভুটানের রাজা বাংলাদেশ উৎপাদিত তৈরি পোশাক, সিরামিক ও ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্যের গুণগত মানের প্রশংসা করেন এবং দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বৈঠকে ভুটানের পক্ষে আরও ছিলেন শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী নামগিয়াল দরজি, পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী ডিএন ধুংগেল এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী তান্ডিন ওয়াংচুক।

বাংলাদেশের পক্ষ ছিলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং সংশ্লিষ্ট সচিবরা।

এর আগে বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে ভুটানের রাজা ও রানী বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এবং রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ভুটানের রানী জেটসুন পেমাকে আরেকটি ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে ভুটানের রাজা পরিদর্শন বইয়ে সই করেন। পরে অতিথিরা মাঠে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।